এম এস ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ মেডিকেল কলেজে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে আবার পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে শাহবাগে ছাত্রদের মানববন্ধনে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের সবাইকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
ভর্তি পরীক্ষা বাতিল আন্দোলনের ১২তম দিনে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। এসময় তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে প্রথম দফায় ১০ জন ও দ্বিতীয় দফায় প্রায় সব আন্দোলনকারীকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি, পুলিশ বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করেছে। এসময় টেনেহিঁচড়ে এক ছাত্রীর পোশাক ছিঁড়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ করে তারা।
অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ইব্রাহীম খান বলেন, সকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মিছিল থেকে প্রথমে ১০ জনকে আটক করা হয়। পরে শাহবাগ মোড় থেকে অন্য আন্দোলনকারী ধরে শাহবাগ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে প্রথম দফায় আটক ১০ জনকে কোথায় রাখা হয়েছে, এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে বিক্ষোভ করেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ মোড়ের দিকে যান। এ সময় পুলিশ জাদুঘরের সামনের বাধা তুলে দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জাদুঘর পেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের বন্দুকের বাট দিয়ে পেটাতে শুরু করে। টেনেহিঁচড়ে এক ছাত্রীর পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় মিছিল থেকে ১০ জনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। অন্য শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। পুলিশ গিয়ে প্রায় সবাইকে তাড়িয়ে থানায় নিয়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের আটক করার কারণ জানতে চাইলে রমনা জোনের ডিসি আবদুল বাতেন বলেন, যান চলাচলে বাধার কারণেই তাদের আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৮ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে একযোগে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। দেশের ১০টি জেলায় এ নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই